নোয়াখালীর উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর ভয়াবহ তাণ্ডবের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস সিত্রাংয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। এ সময় তিনি খাদ্য ও নগদ অর্থ পরিবারের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি পরবর্তীতে তার খোঁজখবর নেবেন বলেও আশ্বাস দেন ডিসি। এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের সিত্রাংয়ের মাঝে জন্মগ্রহণ করায় তার নাম রাখা হয় জান্নাতুল ফেরদৌস সিত্রাং।
বৃহস্পতিবার ১১ টার দিকে হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের চতলার খাল এলাকার শিশুর বাড়িতে পৌঁছান তিনি। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানকে পাশে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সিত্রাং এর পরিবার ও স্থানীয়রা।
সিত্রাং এর মা ফারজানা আক্তার বলেন, ডিসি স্যার আমাদের বাড়িতে আসবেন তা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা সবাই স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। সিত্রাং এর দাদী নুর জাহান বলেন, ডিসি স্যার এই গরিবের বাড়িতে পা দিয়েছেন। আমরা এতেই খুশী।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম হোসেন বলেন, একজন সংগ্রামী মা ফারজানা আক্তার। তিনি যে কঠিন দুর্যোগের সময়ে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন তা অকল্পনীয়।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, সিত্রাং এর দায়িত্ব আমি নিলাম। তার জন্য আমি নতুন জামা মিষ্টিসহ উপহার এনেছি। ইউএনও ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছি। যেকোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাতে বলেছি। তাদেরকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘর উপহার দেওয়া হবে।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম হোসেন, হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আখতার হোসাইনসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৩ অক্টোবর) নোয়াখালীতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলাকালে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর এলাকার মো. শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার কন্যা শিশু প্রসব করেন। পরে শিশুটির নাম রাখা হয় জান্নাতুল ফেরদৌস সিত্রাং।